পৃষ্ঠাসমূহ

Tuesday, October 13, 2015

ঘুমের ব্যাপারে সচেতন হোন

সুস্থ থাকতে গড়ে দৈনিক সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন হলেও আমরা কি তা করি? কারো আবার ঘুমাতে দেরি হয়। কেউবা তাড়াতাড়ি জেগে যান। পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও তৃপ্তি নেই অনেকের। অনেকে মনে করেন ঘুম বেশি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ঘুমের মধ্যে হাঁটা, ভয়ের স্বপ্ন দেখা, মাঝরাতে জেগে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। মাদকসেবী, ব্যথার রোগী বা শারীরিক ও মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির মধ্যে ঘুমের সমস্যা দেখা যায়। ঘুমের সমস্যাও আবার মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে। অন্যদিকে, অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস ও রাত্রিকালীন কাজের পেশা ঘুমের সমস্যা তৈরি করে।
প্রাথমিক স্কুলগামী শিশুদের সুস্বাস্থ্যের জন্য গড়ে দৈনিক ১০ থেকে ১১ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। আর টিনেজারদের জন্য সাড়ে আট থেকে সাড়ে নয় ঘন্টা ঘুমানো জরুরি। তবে বাংলাদেশের শহুরে জীবনযাত্রায় ঘুম এমন নিয়মমাফিক হচ্ছে কি-না এবং এর কারণে শিশুরা দুর্বল স্মরণশক্তি ও অমনোযোগিতাসহ অন্য মানসিক সমস্যায় পড়ছে কি-না তা একটি বড় গবেষণার বিষয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভবিষ্যত্ বিশ্বে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ঘুমের সমস্যা আবির্ভূত হতে যাচ্ছে কি-না, তা নিয়েও বিশেষজ্ঞরা বেশ উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে প্রতিবছর ২০ মার্চের (দিন ও রাত সমান) আগের শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ৪৫ ভাগ মানুষের ঘুমের সমস্যা তীব্র। তবে ২০১২ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার গবেষণা অনুসারে, আফ্রিকা ও এশিয়ার বাছাইকৃত আট দেশের মধ্যে ঘুমের সমস্যায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। এর মধ্যে নারীরাই বেশি, ৪০ শতাংশ। এছাড়া ২৩ শতাংশেরও বেশি পুরুষের মধ্যে ঘুমজনিত সমস্যা তীব্র। ঐ গবেষণায় ঘুমের সামাজিক কয়েকটি কারণও চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন, অল্পশিক্ষা, জীবনসঙ্গীর সাথে না থাকা ও ইচ্ছাকৃত নিম্নমানের জীবন-যাপন করা। গবেষণাটি চালানো হয় পঞ্চাশ ও তদোর্ধ্ব নারী-পুরুষের মধ্যে।
সবার জন্য ঘুমের যেসব নিয়ম মানা বাঞ্ছনীয়-
১. রাতে সময় বেঁধে ঘুমান এবং ৪৫ মিনিটের বেশি দিবানিদ্রা এড়িয়ে চলুন
২. হাঁটার জন্যও নির্দিষ্ট সময় রাখুন, ঘুমানোর আগে ছয় ঘন্টার মধ্যে চা, কফি বা সোডা জাতীয় পানীয় এবং চার ঘন্টার মধ্যে ধুমপান করবেন না
৩. বিছানাকে আরামদায়ক রাখুন। বিছানায় টিভি দেখা, রেডিও শোনা, গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত নেয়া বা সমস্যার সমাধান করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. শোবার ঘরে আরামদায়ক তাপমাত্রা ও বাতাস আছে কি-না খেয়াল রাখুন। ঘুমানোর সময় ঘরকে কোলাহল ও আলোমুক্ত রাখুন।
৫. ঘুমানোর সময়সূচি আন্তরিকভাবে পালন করুন। বিছানায় যাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না আসলে অন্য ঘরে যান এবং তন্দ্রাভাব আসার পর আবার বিছানায় ফিরে আসুন।
৬. নিয়মিত ও সময় বেঁধে ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন।

মাউস নষ্ট? শিখে নিন কি-বোর্ডের ২০টি শর্টকাট

মাউস নষ্ট? শিখে নিন কি-বোর্ডের ২০টি শর্টকাট

 0
অনেক সময় আমাদের কম্পিউটারের মাউস নষ্ট হয়ে যায়। তাই আগে থেকেই কম্পিউটারে মাউসের ব্যবহার কমিয়ে কি-বোর্ডের ব্যবহার বাড়ান৷ কারণ মাউসে সমস্যা হলে আপনার কম্পিউটার অকেজো হয়ে পরে৷ কি-বোর্ড দিয়েই প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারলে এর থেকে মুক্তি পাবেন৷ তাছাড়া মাউসের থেকে কি-বোর্ড ব্যবহার করলে কাজের সময়ও অনেক কমবে৷
মাউস পয়েন্টার নিয়ে সঠিক জায়গায় ক্লিক করে কাজ করতে যা সময় লাগে তার অর্ধেক সময়ে আপনি কিবোর্ডের ব্যবহারে কাজ করতে পারবেন কম্পিউটারে৷ তাই দ্রুত ভালো কাজের জন্য দেয়া হলো কি-বোর্ডের ২০টি শর্টকাট টিপস-
Keyboard Shorcuts (Microsoft Windows)
  1. CTRL+C (Copy)
  2. CTRL+X (Cut)
  3. CTRL+V (Paste)
  4. CTRL+Z (Undo)
  5. DELETE (Delete)
  6. SHIFT+DELETE (Delete the selected item permanently without placing the item in the Recycle Bin)
  7. CTRL while dragging an item (Copy the selected item)
  8. CTRL+SHIFT while dragging an item (Create a shortcut to the selected item)
  9. F2 key (Rename the selected item)
  10. CTRL+RIGHT ARROW (Move the insertion point to the beginning of the next word)
  11. CTRL+LEFT ARROW (Move the insertion point to the beginning of the previous word)
  12. CTRL+DOWN ARROW (Move the insertion point to the beginning of the next paragraph)
  13. CTRL+UP ARROW (Move the insertion point to the beginning of the previous paragraph)
  14. CTRL+SHIFT with any of the arrow keys (Highlight a block of text)
SHIFT with any of the arrow keys (Select more than one item in a window or on the desktop, or select text in a document)
  1. CTRL+A (Select all)
  2. F3 key (Search for a file or a folder)
  3. ALT+ENTER (View the properties for the selected item)
  4. ALT+F4 (Close the active item, or quit the active program)
  5. ALT+ENTER (Display the properties of the selected object)
  6. ALT+SPACEBAR (Open the shortcut menu for the active window)

Wednesday, September 23, 2015

সুখী মানুষেরা যে ৮ টি কাজ কখনো করেন না বলেই সুখী




অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে আসলে সুখী মানুষেরা কী করেন? কোন কাজটি বা কাজগুলোর কারণে তারা এতো সুখী তাদের জীবনে। এই ধরনের প্রশ্ন যে কোনো সাধারণ মানুষের মধ্যেই আসতে পারে। কারণ মানুষ জীবনের অনেকটা সময় সুখ খুঁজেই পার করে দেন
কিন্তু অনেকেই জানেন না সুখ তার নিজের হাতে। সুখী মানুষেরা যে সকল কাজ করেন এবং যে কাজগুলো করেন না তার মাধ্যমেই সুখী থাকেন। এবং তার সেই সকল কাজ তার নিজের হাতেই থাকে। জানতে চান সুখী মানুষেরা কোন কোন কাজগুলি একেবারেই করেন না? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক আজকের ফিচারটি
মানুষের কথায় কান দেয়া
মানুষ আপনার সম্পর্কে কথা বলেই যাবে। আপনি সোজা পথে হাঁটলেও কথা শোনাবে আবার বাঁকা পথে হাঁটলেও কথা শোনাবে। তাই মানুষের সকল কথায় কান দিয়ে নিজের সুখ নষ্ট করার কাজটি সুখী মানুষেরা একেবারেই করেন না
অন্য কারো ওপর নিজের খুশির জন্য নির্ভরশীলতা
অন্য কোনো মানুষ এবং অন্য কোনো জিনিসের মধ্যে একজন মানুষের সুখ থাকতে পারে না। কারন সুখ পুরোপুরিই মানসিক একটি ব্যাপার। যা আত্মতৃপ্তি থেকে আসে। যখন কোনো বস্তু বা কারো ওপর নিজের সুখের জন্য নির্ভর করতে হয় তখন কখনোই সুখী হওয়া যায় না। সে কারনেই সুখী মানুষ নিজের সুখের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকেন না
অতীত ধরে রাখা
মানুষের অতীত থাকতেই পারে, কিন্তু সেই অতীত ধরে রেখে যদি বর্তমানে কষ্ট এবং ভুল উপলব্ধি করে নিজেকে দোষারোপ করা হয় তবে তা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এই বোকামিটি সুখী মানুষেরা একেবারেই করেন না। অতীতের কাজ শুধুমাত্র আপনি যে ভুলটি করেছিলেন তার থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য
অন্যের খুঁত ধরতে যাওয়া
যার চোখে অন্য মানুষের খুঁতটা আগে চোখে পরে সে কখনোই সুখী হতে পারেন না। কারন আপনার মন সব সময় নেতিবাচক জিনিসটিই খুঁজবে। যিনি নেতিবাচক জিনিসটিই দেখবেন তিনি নিজেই সুখকে দূরে ঠেলে দিয়ে থাকেন। তাই অন্যের খুঁত ধরতে যাওয়ার মতো অযথা সময় সুখী মানুষেরা ব্যয় করেন না
মুখে এক ভেতরে আরেক
মুখে এক এবং ভেতরে আরেক এই ধরনের দ্বিমুখী সাপের ভূমিকা সুখী মানুষজন একেবারেই পালন করেন না। কারন যারা এই ধরনের আচরন করেন তারা কখনোই ভালো থাকতে পারেন না। নিজের দ্বিমুখী আচরণের কারনেই নিজেরাই নিজেদের জালে জড়িয়ে পড়েন
নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা
নিজেকে নিয়ে যে সুখী নয় সে কখনোই কোনো কিছুতে সুখ খুঁজে পাবেন না। নিজেকে সম্মান করতে না জানলে কারো কাছেই সম্মান পাওয়া সম্ভব নয়। নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করতে যাওয়ার মতো বোকামি সুখী মানুষেরা করেন না কখনোই
বিফলতাকে ভয়
বিফলতাকে ভয় পেলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সফল হতে হলে বিফলতাকে স্বীকার করে নিয়েই এগুতে হবে। বিফলতাকে ভয় করে জীবনে চলতে থাকলে সুখী হওয়া সম্ভব নয়। সেকারনেই বিফলতাকে ভয় করেন না সুখী মানুষেরা
ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা
ভবিষ্যতে কি হবে না হবে তা আমরা কেউই জানি না। ভাগ্যের কিছু বিষয় আমরা নিজেরা গড়ে নিতে পারি, বাদে ভবিষ্যতে কি হবে তা বলা যায় না একেবারেই। তাই অযথা চিন্তা করে বর্তমানের সুখ নষ্ট করার কোনো অর্থ হয় না। তাই যতোটুকু প্রয়োজন তার বেশি চিন্তা করেন না সুখী মানুষেরা