গোয়েন্দা সংস্থা কি এবং কীভাবে কাজ করে?
গোয়েন্দা সংস্থা (Intelligence agency) হল বিভিন্ন দেশের সরকারি বিশেষ সংস্থা যা আইন প্রয়োগে, জাতীয় নিরাপত্তা সংরক্ষণে, সামরিক প্রতিরোধে ও বৈদেশিক নীতি প্রণয়নের সহায়তার জন্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা করে থাকে। এই তথ্য সংগ্রহ চলে সরাসরি কিংবা গোপনীয়ভাবে। যেকোন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মূল লক্ষ্য থাকে দেশের বাইরের ও ভিতরের গোপন তথ্য সংগ্রহ করা বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন দুর্ঘটনা থেকে নিরাপত্তা দানের জন্য ।এছাড়াও দেশের স্পৃশ্য বা অস্পৃশ্য বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত জিনিসেও এই সংস্থাগুলো নিরাপত্তা দিয়ে থাকে উদাহরণস্বরুপ ধরতে পারেন নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম ও গোপন – সেনসেটিভ তথ্য ধারণকারী জিনিস ইত্যাদি ।বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজের প্রেক্ষিতে দুটো অশে ভাগ করা যায়। প্রথমত, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত গোয়েন্দা সংস্থা: যা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে। দ্বিতীয়ত: বৈদেশিক কাজে নিযুক্ত গোয়েন্দা সংস্থা: যা বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক তথ্যাদি সংগ্রহে নিযুক্ত থাকে। এমনকি কিছু গোয়েন্দা সংস্থা গুপ্তহত্যা, সামরিক অভ্যুত্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে। বিভিন্ন দেশের প্রধান জাতীয় নীতি নির্ধারকদের কাছে একদম সঠিক ও পরিপূর্ণ তথ্য পৌঁছে দেওয়া সেসব দেশের গোয়েন্দা সংস্থাদের প্রধান কাজ। গোয়েন্দাদের দ্বারা সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা নীতি নির্ধারণ করে থাকে। সুতরাং বলা চলে একটি দেশের নীতি নির্ধারণ ও কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।
পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেরই নিরাপত্তাজনিত কারণে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে।
তবে কিছু দেশের গোয়েন্দা সংস্থা নিজের দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বাদেও
বহির্বিশ্বে বিশেষ প্রভাব রেখে থাকে। এসব কাজে যারা জড়িত থাকে তাদেরকে আমরা
স্পাই , এজেন্ট বা গুপ্তচর বলে থাকি। এই লোকগুলো থাকে খুবই সাধাসিধে যা
হলিউডের বিভিন্ন মুভির সাথে একদম বিপরীত বৈশিষ্ট্যের। মুভিতে যে গোয়েন্দা
চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলা হয় সেগুলো সাধারণত বেশ আকর্ষনীয় ও বিশেষ চরিত্রের
অধিকারী হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবতায় আসলে এইসব চরিত্রগুলো স্পাইগিরি করার
জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। আপনি যতই লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে কাজ করতে পারবেন
যতই অতি সাধারণ বেশে থাকতে পারবেন ততই তথ্য পেতে আপনার সহজ হবে। তো বুঝতেই
পারছেন, আমার আপনার চারপাশের গোয়ন্দা কাজে নিয়োজিত লোকগুলো কেমন হবে!
আমাদের অনেকের মনে কৌতুহল থাকতে পারে কীভাবে গোয়েন্দা সংস্থা গুলো কাজ করে
থাকে। কীভাবে কাজ করে থাকে সেটা এক এক দেশের এক এক গোয়েন্দা সংস্থার
ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে যদিও কাজের উদ্দেশ্য একই আর তা হল গোপন তথ্য
সংগ্রহ করা। আমার পরবর্তী ধারাবাহিক পোস্ট গুলো থাকবে বিভিন্ন দেশের
নামি-দামী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর। সুতরাং সামনের ধারাবাহিক পোস্টগুলো
যদি পড়েন আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা হলেও পেয়ে যাবেন। আপনারা জানেন
আমাদের দেশে ডিজিএফআই, এনএসআই, সিআইডি ইত্যাদি গোয়েন্দা সংস্থা দেশের
নিরাপত্তার স্বার্থে সারা দেশে সদা তথ্য সংগ্রহে তৎপর। তবে পৃথিবীর কিছু
বিখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার নাম উল্লেখ না করলেই নয় –
১। GRU, Russia
২। ISI, Pakistan
৩। BND, Germany
৪। ASIS, Australia
৫। RAW, India
৬। MI6, United Kingdom
৭। Mossad, Israel
৮। CIA, USA
৯। MSS, China
১০। DGSE, France
১১। NSA, USA
১২। Federal Security Services (FSB), Russia
১৩। Bundesnachrichtendienst (BND), Germany
১৪।KGB,Russia
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের এইসব দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা গুলো নিয়ে থাকবে ধারাবাহিক লেখা। আশা করি সঙ্গে থাকবেন।
১। GRU, Russia
২। ISI, Pakistan
৩। BND, Germany
৪। ASIS, Australia
৫। RAW, India
৬। MI6, United Kingdom
৭। Mossad, Israel
৮। CIA, USA
৯। MSS, China
১০। DGSE, France
১১। NSA, USA
১২। Federal Security Services (FSB), Russia
১৩। Bundesnachrichtendienst (BND), Germany
১৪।KGB,Russia
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের এইসব দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা গুলো নিয়ে থাকবে ধারাবাহিক লেখা। আশা করি সঙ্গে থাকবেন।
No comments:
Post a Comment